• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

মহানগর

ঈদে দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ঢাকা চিড়িয়াখানা

  • প্রকাশিত ০৮ এপ্রিল ২০২৪

তরিকুল ইসলাম সুমন:

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এর পরপরই পহেলা বৈশাখ, বাংলা বছরের প্রথম দিন। দুটি উৎসব পাশাপাশি হওয়ায় এবার বাড়তি উন্মাদনা দেশবাসীর মনে। ঈদ এবং পহেলা বৈশাখের ছুটিতে রাজধানীবাসী প্রিয়জনদের নিয়ে সময় কাটাবেন ঢাকা ও আশপাশের বিনোদনকেন্দ্রগুলোয়। তবে সব বয়সী মানুষের কাছে অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র হলো ঢাকা চিড়িয়াখানা। এ বছর দুটি উৎসবকে কেন্দ্র করে বেশি ছুটি হওয়ায় ৮-১০ লাখ দর্শনার্থী সমাগমের আশা করছেন মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানা সংশ্লিষ্টরা।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে চিড়িয়াখানাকে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তাব্যবস্থাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নিজেদের নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে নিরাপত্তার বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। সে ভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবারের ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের আগমন এবং সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পাঁচটি বিভিন্ন উপকমিটিও গঠন করা হয়েছে।

সরেজমিন মিরপুর চিড়িয়াখানায় দেখা গেছে, ঈদ উপলক্ষে চিড়িয়াখানাকে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে। নানা রঙে রাঙানো হচ্ছে চিড়িয়াখানার দেয়াল, বেষ্টনী, বিভিন্ন গাছের গোড়া। চিড়িয়াখানার ভাঙা খাঁচা ও শেড নতুন করে সংস্কার ও স্থাপন করা হচ্ছে। পাশাপাশি খাঁচা ও শেডে নতুন করে বেষ্টনী দেওয়া হচ্ছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য চিড়িয়াখানার ভেতরে আরও ৫০টির মতো ডাস্টবিন তৈরি করা হচ্ছে। ঈদের সময় চিড়িয়াখানায় নতুন করে দুটি ক্যান্টিন চালু করেছে পর্যটন করপোরেশন। পুরনো দুটি ক্যান্টিনও বড় পরিসরে সাজানো হচ্ছে। এ দুটির একটি ক্যান্টিন থাকবে চিড়িয়াখানার ভেতরে শিশু পার্কে এবং আরেকটি ক্যান্টিন থাকবে সেলফি জোনে। অন্যান্য ক্যান্টিনের মতো এখান থেকে নির্দিষ্ট মূল্যে খাবার খেতে পারবেন আগত দর্শনার্থীরা।

ঈদে প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, দর্শনার্থীদের জন্য চিড়িয়াখানা বরাবরের মতোই প্রস্তুত। এবারে ঈদে রং করে চিড়িয়াখানা নতুন রূপে সাজিয়েছি। ঈদের সময় দর্শনার্থীদের যেন কোনো জটলা তৈরি না হয়, সে জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়ে রেখেছি। আমাদের চিড়িয়াখানার পশুগুলোকে সুস্থ রাখার জন্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যা যা করা দরকার, আমরা সেগুলো এরই মধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে শতাধিক সিসি ক্যামেরা। বয়ষ্ক দর্মনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য ঈদে নতুন আকর্শন হচ্ছে নতুন তিনটা বাঘের বাচ্চা।

মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা সাধারণ সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হলেও বিভিন্ন উৎসবে ছুটির দিন উপলক্ষে দর্শনার্থীর সমাগম বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বিশেষ করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী আসে। এবারের ঈদের লম্বা ছুটির কারণে চিড়িয়াখানায় প্রায় আট থেকে দশ লাখ দর্শনার্থীর সমাগমের প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads